কুষ্টিয়ার খোকসায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে আওয়ামী লীগের ৮ নেতা-কর্মী। শুক্র ও শনিবার (০৯ ও ১০ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নুর হোসেন দিবস পালনের নামে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে সমবেত হয়ে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আওয়ামী লীগের এসব নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলেন, একটি চক্র সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান চালিয়ে খোকসা উপজেলায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ধৃত আসামীদের ছাড়িয়ে নিতে বিভিন্নভাবে তৎপরতা চালিয়েছে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির এক হাইব্রীড নেতার আশির্বাদপুষ্ট একাধিক একাধিক নেতা।
এ নিয়ে বিএনপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সমর্থক মহলে ব্যপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
তারা জানান, জুলাই মাসে হাজার হাজার মানুষকে খুন করে আওয়ামীলীগ ক্ষমতার মসনদ দখল করে রাখার অপচেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছে। সেই দলের নেতা কর্মীদেরকে পূনর্বাসন ও গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করেছে বিএনপি নেতারা। এটা দুঃখজনক এবং জুলাইয়ের বিপ্লবে হাজার হাজার শহীদ ও আহতদের সাথে বেইমানী করেছে তারা।
আটককৃতরা হলেন–খোকসা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ আমিরুল ইসলাম ব্যারিষ্টার,
-খোকসা উপজেলা কৃষক লীগের সেক্রেটারী মোঃ সামসুজ্জামান @ দীন মেলেটারী,জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাতাব উদ্দিন (বর্তমান মেম্বার)
খোকসা ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারী আব্দুল খালেক, খোকসা উপজেলা আওয়ামীলগের সাংগঠনিক সম্পাদক,
মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম বাবলু @ তেল বাবলু, আমবাড়ীয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কাউছার প্রামানিক,আমবাড়ীয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম,
আমবাড়ীয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য অলিউজ্জামান রহমান পিয়ার প্রমূখ।