খোকসায় আবারো গায়েবী মামলার প্রস্তুতি: বিএনপি নেতা-কর্মিদের বাড়িবাড়ি হামলা
অনলাইন ডেস্ক: কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় পুলিশের বিরুদ্ধে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর ও চার নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এর পরদিন শফিকুল ও তার তিন ভাইসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৪০ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রোববার রাত ১টার দিকে বাড়িতে গিয়ে শফিকুলকে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশের একটি দল। এ সময় বাইরে ইজিবাইকে এক দল লুঙ্গি পরা লাঠিয়াল বসে ছিল। এক পর্যায়ে শফিকুল ও তাঁর অন্য ভাইরা পালিয়ে যান। এর পর ওই নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করে পুলিশ। পাঁচটি ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে প্রত্যেক কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
শফিকুলের স্ত্রী রুনু খাতুন বলেন, পুলিশসহ একদল লাঠিয়াল তাঁকে ও তাঁর তিন দেবরের স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে পুলিশ।
আত্মগোপনে থাকা বিএনপি নেতা শফিকুল সাংবাদিকদের জানান, তাঁর নামে কোনো মামলা নেই। পুলিশ খামখেয়ালি করে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। তাঁকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে লাঠিয়ালদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। সমাবেশে যোগ দেওয়াই তাঁর কাল হয়েছে।
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আহমদ রাজু জানান, উপজেলার যেসব নেতা সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় গিয়েছিলেন, তাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। রোববার বিকেল থেকে পুলিশ বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে। সারারাত বেতবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ, জাগলবা গ্রামের মকবুল হোসেনসহ প্রায় ৩০ নেতার বাড়িতে হানা দেয়। এ ছাড়া গভীর রাতে শফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
বিএনপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে খোকসা থানার ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, মামলা হওয়ায় নিজেদের ঘর নিজেরা ভাঙতে পারে।