স্টাফ রিপোর্টার, খোকসা
কুষ্টিয়ার খোকসার সাতপাখিয়া গ্রামে চোর আতঙ্ক বিরাজ করছে, গ্রামবাসীর হাতে একজন অটো রিকশা চোর আটক হয়েছে। সংগবদ্ধ চোরচক্রের উপদ্রপে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। চোর আতঙ্কে রাতে ঘুমাতে পারছেনা তারা। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এমন আতঙ্কে গ্রামবাসী অনেকটা মুখ খুলতেও নারাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী জানান, উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের (নয় নং ওয়ার্ড) সাতপাখিয়া গ্রামে গত ছয় মাসে অন্ততঃ পাঁচটি চুরির ঘটনা ঘটেছে।গত ১০/০৬/২০২১ একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র বৃষ্টির মধ্যে গভীর রাতে খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সাতপাখিয়া গ্রামের কাদের মল্লিকের ছেলে আরিফ মল্লিকের অটোরিকশা চুরি করে।
পরদিন শুক্রবার সারাদিন বিভিন্ন বাজার /স্থানে খোঁজা খোঁজির পর জানা যায়, অটোরিকশাটি বিক্রি হয়ে যায়। চুরি যাওয়া অটেরিকশা ক্রেতার নিকট থেকে পাওয়া তথ্যমতে গ্রামবাসী জানতে পারে চোর লুকিয়ে আছে শোমসপুরের আদিবাসীপাড়ায়।সেখান থেকে 12 জুন শনিবার সকালে চোরকে আটক করে খোকসা থানা পুলিশের হাতে সপর্দ করে। জানা যায়, চোরচক্রের অন্যতম সদস্য গোপগ্রাম গারেল পাড়ার( আলম চেয়ারম্যানের বাড়ির উত্তর পাশে।) ওমরের ছেলে রবিউল । তারা বিশাল একটি টিম গঠনের মাধ্যমে এই সকল চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
উল্লেখ্য যে, বিগত ছয়মাসে ঐ ৯ নং ওয়ার্ডে পাঁচটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। ইতিপূর্বে বিগত ৯/৫/২০২১ তারিখে সামু শেখের ছেলে শফি শেখ নাদের মল্লিকের হাস চুরি করে ধরা পড়ে থানায় মুসলেকা দিয়ে ছাড়া পায়। বিগত ২০/৩/২১ তারিখে মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে মুকুলের ভ্যান,আনুমানিক ৩০/৩/২১ আলতাফের ছেলে মতিন এর ভ্যান বিগত ৬/৬/২১ তারিখে আব্দুল্লাহ মোল্লার ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের ভ্যান, ২৫/৫/২১ তারিখে রেজাউল ডেকোরটর এর ভ্যান, এবং গত ফেব্রুয়ারি ২০২১, সাতপাখিয়া উত্তর পাড়া জামে মসজিদের ব্যাটারি চুরি এছাড়াও মাঝে মাঝে গরু চুরি করার চেষ্টা করেছে কিন্তু সফল হয়নি। ভুক্তভোগী ব্যাক্তিগন থানায় জি ডি করতে ভয়ংকর রকমের ভয় পায় কারন আরও বড়সড় ঝামেলা চুরি চামারি ঘটতে পারে। এখন এলাকার গৃহস্থ ও নিরীহ সাধারন মানুষরা চরমভাবে চুরির আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।
এ ব্যাপারে খোকসা থানায় যোগাযোগ করা হলে এসআই নাজমুল জানান, আটককৃত চোর থানা হেফাজতে আছে। তার দেওয়া তথ্য মতে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে এবং এব্যাপারে একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।