কেউ বললো না ভালোবাসি
-বিচিত্র কুমার
কেউ বললো না ভালোবাসি,উতলা যৌবনেও একাএকা পথ চলি,কেউ বললো না ভালোবাসি;
কত না উড়ন্ত পাখি এলো গেলো,কেউ বাসা বাঁধলো না প্রেমে,
ওরা শুধু হাওয়া টাওয়া খেতে চায় অনলাইনের মতো গেমে;
কোন প্রেমিকার অশ্রু ঝরেনা দুই নয়নে।
কখনো আমি প্রেমযমুনায় সাঁতারও কাটতে পারিনি,দূরন্ত সব বন্ধুরা অনেক সাঁটার কেটেছে, চাঁদের বেশে নিশি,জোছনা,চাঁদনীর দেহ খেলেছে;
শুনেছি পৃথিবীর সব সুখ না কী ওইখানে পাওয়া যায়?
জোনাকিরা মিটিমিটি আলো জ্বালায়,
ঝিঁঝি পোকা গান গায়।
জীবনে একটাও সুখ পাখি পুষতে পারলাম না,
যদি উড়াল দেয় শুধু সেই ভয়ে,বন্ধুরা কতবার বললো একটাকে ধর না;
আমি কখনো ধরার সাহসই পাইনি, অন্ধপ্রেমের আঁধারিতে সময় নষ্ট করতেও চাইনি।
জানি পৃথিবীতে প্রেমের খুব কদর রয়েছে, ফুল ফোটামাত্রই ভ্রমরেরা গুনগুন করতে থাকে।
তাইতো আমি একা একা মন খারাপের দেশে-
কোন এক শরতের পড়ন্তবিকালে ইচ্ছে নদীর তীর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম;
হঠাৎ দেখি একটা ফিলিংস পাখি, হরিণীর মতো টানাটানা দুটি আঁখি।
সে আমাকে দেখে মনের দরজা খুলে থমকে দাঁড়ালো,
জিজ্ঞেসা করলো আমি কেমন আছি? কি করছি? মা বাবা কেমন আছে? ইত্যাদি ইত্যাদি—?
মাঝে মাঝে যেটা ম্যাসেনঞ্জারে সে জিজ্ঞেসা করে?
শুধু বললো না একবারও ভালোবাসি, এ জীবনে কেউ বললো না তোমাকে ভালোবাসি।