পাশের বিছানায় শুয়ে আছেন ৫৫ বছরের মাহবুব হোসেন। শ্বাস নিতে তাঁকে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সহায়তা নিতে হচ্ছে। সেখানে চিকিৎসাধীন আরেক নারীর মুখেও অক্সিজেন মাস্ক। তবে সিলিন্ডারের অক্সিজেন শেষের দিকে। ছেলে ছুটছেন আরেকটি সিলিন্ডারের খোঁজে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইশোলসন ওয়ার্ডের চিত্র এটি। আজ বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত স্বাস্থবিধি মেনে হাসপাতালের তিনটি করোনা ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা গেল, তিনটি ওয়ার্ড রোগীতে টইটম্বুর। বেড ছাড়িয়ে মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে ভর্তি হওয়া অনেক রোগীর।
হাসপাতালের তথ্য বলছে, ৩টি ওয়ার্ডে করোনা বেডের সংখ্যা ১০০টি। আজ দুপুর পর্যন্ত সেখানে ভর্তি আছেন ১২২ জন। তাঁদের মধ্যে পজিটিভ রোগী ৯৫ জন। বাকি ২৭ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন রোগী।
গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত এই হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি থাকা ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে; করোনাকালে এটিই জেলায় এক দিনে সবোর্চ্চ মৃত্যু। একই সময়ে জেলায় সর্বোচ্চ ১৬৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার বেশির ভাগ রোগী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুষ্টিয়া পৌর এলাকায়। যদিও গত ১০ দিন পৌর এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ চলছে।
আইশোলন ওয়ার্ডে দায়িত্বে ছিলেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আক্রামুজ্জামান। তিনি বলেন, রোগী হু হু করে বাড়ছে। এটা অশনিসংকেত। রোগীদের সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।