কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগে প্রেমিক মাদ্রাসা শিক্ষক ও এক গৃহিণীকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার সদকী ইউনিয়নের ঘাঁসখাল গ্রাম থেকে শনিবার সকালে থানা পুলিশ নির্যাতিদের উদ্ধার করে।
অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম মো. শহিদুল ইসলাম (৫০)। তিনি সদকী দাখিল মাদ্রাসার বাংলা বিষয়ের শিক্ষক। তার বাড়ি রাজশাহী জেলায়। আর গৃহিনী ঘাসখাল গ্রামের এক সন্তানের জননী।
এলাকাবাসী জানান, গৃহিনীর স্বামী ঢাকায় হকারের কাজ করেন। মাদ্রাসা শিক্ষক শহিদুল দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে এসে তার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া সন্তানকে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। ওই গৃহিনী ও শিক্ষক পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। গত শুক্রবার আনুমানিক রাত দুইটার দিকে গৃহিনীর ঘরে থেকে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করা হয়। উৎসুক জনতা তাদের গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাতভর মারধর করেন। খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে একটি গাছের সঙ্গে দঁড়ি দিয়ে বাঁধা হয়েছে ওই মাদ্রাসা শিক্ষক ও গৃহিণীকে। তাদের হাত ও পিঠ বাঁধা। বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড়।
মাদ্রাসা শিক্ষক শহিদুল ইসলাম স্বীকার কনে, প্রাইভেট পড়াতে এসে তিনি ছাত্রের মায়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। প্রেমের টানে শুক্রবার রাতে আসলে জনগণ তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলেন। পরে তাদের গাছের সঙ্গে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়েছে।
গৃহিণী জানান, শিক্ষকের কাছে তার ছেলে প্রাইভেট পড়ে অনেক দিন। তবে আজই প্রথম রাতে বাড়ি এসেছেন স্যার।
সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, তিনি লোকমুখে ও ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে, পরকীয়া প্রেমের জেরে এক মাদ্রাসা শিক্ষক ও এক গৃহিনীকে দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাদের মরধরও করা হয়েছে। তিনি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার চান।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকিবুল ইসলাম বলেন, এক মাদ্রাসা শিক্ষক ও এক নারীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল উৎসুক জনতা। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।