খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন:
কুষ্টিয়ার খোকসা হেলথ কেয়ার হাসাপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ল্যাব টেকনিশিয়ান হিরণের রহস্য জনক মৃত্য হয়েছে। স্বজনদের দাবী এটি একটি হত্যাকান্ড।তবে স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত ১০ টায় হসপিটালের মধ্যে প্রধান গেটের সামনে অচেতন অবস্থায় কর্মচারী হিরনকে দেখতে পান হসপিটাল বিল্ডিং এর মালিক ছাত্তার ওরফে বালি ছাত্তার এর ছেলে হাবিব।পরে সামান্য খোলা কলাপসিবল গেট খুলতে ব্যার্থ হয়ে পরে পেছন গেট দিয়ে গিয়ে তাকে ডাকার চেষ্টা করে। কোন সাড়া না পেয়ে উপড় থেকে অন্যদের ডাক দেন। পরে হিরন কে উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ল্যাব টেকনিশিয়ান হিরন উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের সিংঘরিয়া গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে। তিনি পাংশা সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি ওই হাসপাতালে চাকরি করতেন।
নিহতের মা সকিনা খাতুন বলেন, ছেলে সুস্থ ও মেধাবী ছিল। রোজার কয়েকদিন আগে হিরন চাকরিতে আসে কিন্তু আর বাড়ি যায়নি। হাসপাতালের মালিক তাকে ঈদের দিনেও ছুটি দেয়নি। ছেলের সাথে ফোনে কথা হতো। সে সময়ে কম বেতনের কারণে চাকরি ছেড়েও দিতে চেয়েছিল। সংসারের অভাব আর লেখাপড়ার খরচের জোগানের জন্য চাকরি ছাড়েনি।
হাসপাতালে মৃত ছেলের কাছে দাঁড়িয়ে তিনি সবার কাছে একই প্রশ্ন করেন, তার ছেলের যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তাহলে হাতে পোড়া চিহ্ন কিসের!
নিহতের মামা ফারুক আহমেদ খান এটিকে স্বাভাবিক কোন মৃত্যু বলছেন না।তিনি জানান, হিরনকে হত্যা করা হয়েছে।সঠিক তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবী করেন।
হাসপাতালের মালিক সেলিম রেজা বলেন, এটা একটি দুর্ঘটনা। হার্ট এ্যাটাকে হতে পারে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটেও হতে পারে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছেনা ঠিক কি কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সাইদুজ্জামান বলেন, হিরনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার হাতের ক্ষত চিহ্ন দেখে মনে হয়েছে বিদ্যুতের সর্টে তার মৃত্যু হয়েছে।
খোকসা থানার এসআই দীপন বলেন, রাতে সড়কে পাহারা থাকায় তিনি ওই যুবকের মৃত্যুর সংবাদ পান। তবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা বলতে পারে না।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।