শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
মিঠাপুকুরে শাড়ী পেচিয়ে এক মহিলার আত্ম হত্যা পাংশায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত মৃত্যুর আগে ওয়াশরুম থেকে কবি হেলাল হাফিজের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ অনন্তলোকের চিরন্তন সফরে কবি হেলাল হাফিজ পাংশায় পুলিশকে দেখে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পালানো আসামী গ্রেফতার ক্ষমা চাইলেন মুফতি আমীর হামযা আশা জাগিয়ে রাখি পাংশায় আগুনে পুড়ে ছাই হলো ৪টি ঘর খোকসায় আ.লীগ নেতাদের ছাড়াতে বিএনপির হাইব্রীড নেতাদের তদবিরে জনমনে প্রশ্ন  খোকসায় আওয়ামীলীগ নেতা আটক, ছাড়িয়ে নিতে কৃষকদল নেতার তদবীর রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত কবি রফিকুল্লাহ কালবী : সাক্ষাৎকার পাংশায় যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালী, কেক কাটা ও আলোচনা সভা কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ বৈঠকে আমীরে জামায়াত ক্লাসে বিশ্বনবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিল
বিশেষ ঘোষনা
বাংলাদেশ ভূমি ডটকম এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার মূল্যবান সাহিত্য-কর্ম প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ ভূমি’তে পাঠিয়ে দিন। এছাড়াও আপনার চারপাশের যে কোন খবর লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। আমরা বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে তা প্রকাশ করবো। যোগাযোগ: খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন, মোবাইল-  ০১৭৫০৪৯৫৮২০ , ই-মেইল: bangladeshbhumi@gmail.com, এছাড়াও ভিজিট করতে পারেন বাংলাদেশ ভূমি/ @Bangladeshbhumi / খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন ইউটিউব চ্যানেলগুলি। এখন থেকে নিয়মিত বন্ধ্যান্ত, যৌন, পাইলস, নাকের পলিপাসসহ যাবতীয় রোগের চিকিৎসা করছেন: খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডা. মো. জাহাঙ্গীর হুসাইন (ডি.এইচ.এম.এস; এম.এ) । খন্দকার হোমিও হল, মুসলিমপাড়া, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা। রোগী দেখার সময়: বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

কুমারখালীর হাবাসপুর আবাসনে বেহাল দশায় কষ্টের শেষ নেই : দ্রুত সংস্কারের দাবি ভূমিহীনদের

মাহমুদ শরীফ / ১৪৬ জন পড়েছেন
আপডেটের সময় শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪, ৭:৫২ অপরাহ্ন

মাহমুদ শরীফ, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা ঃঅযত্ন -অবহেলায় আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর হাবাসপুর আবাসনে বেহাল দশা বিরাজ করছে। ভূমিহীনদের স্বপ্নের ঠিকানায় তাদের কষ্টের যেন শেষ নেই এখন। মরিচা ধরে টিনের ছাউনি ও দেয়াল ফুটো হয়ে গেছে।

বৃষ্টি হলে ঘরের মধ্যে পানি পড়ে। টিউবওয়েল ও শৌচাগারগুলো নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই। আবাসন প্রকল্পের ১২০টি ঘরের মধ্যে ৭০টি ঘর বর্তমানে ব্যবহার বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পরিত্যক্ত ঘরে গরু-ছাগল লালনপালন করা হচ্ছে। আবাসনের বেহালদশার কারণে ৮০ পরিবার আবাসন ছেড়ে চলে গেছে। তারপরও জরাজীর্ণ অবকাঠামোতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ভূমিহীন ৪০ হতদরিদ্র পরিবার। দ্রুত সংস্কার করে আবাসনটি টিকিয়ে রাখার দাবি জানিয়েছেন আশ্রিতরা।

 

জানা গেছে, দুস্থ ও ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য ২০ বছর আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার হাবাসপুর গ্রামে গড়াই নদীর পাড়ে সেনাবাহিনীর তত্ববধানে আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করা হয়। সরকারের খাস জমির উপর টিনের দেওয়াল ও টিনের ছাউনি দিয়ে নির্মিত আবাসন প্রকল্পের এক একটি ব্যারাকে ১০টি করে কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছিল। ১২০টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য ১২টি ব্যারাক (১২০ টি ঘর) নির্মাণ করে দেয় সরকার। প্রতিটি পরিবারকে একটি করে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে অযতেœ-অবহেলা, সংস্কার আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আবাসন প্রকল্পটির এখন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ভূমিহীনদের স্বপ্নের ঠিকানায় তাদের কষ্টের যেন শেষ নেই। সংস্কার করে আবাসনটি টিকিয়ে রাখার দাবি জানিয়েছেন আশ্রিতরা।

জেলার কুমারখালী উপজেলার ২০০৭ সালে নির্মিত হয় হাঁসদিয়াা- ১ ও ২ আবাসন, ২ পৌর আবাসন এবং ৩ নন্দলালপুর আবাসন। লালন আবাসন যদুবয়রায় ৬০টি, পৌর আবাসনে ৬০টি, নন্দলালপুর আবাসনে ৬০টি মোটা- ১৮০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। আবাসন ঘরে বসবাস করছে এখন মাত্র ৩০টি পরিবার। এখানেও ঘরগুলো ভেঙ্গে পড়েছে, নেই যাতায়াতের ব্যবস্থা। আবাসনের চার পাশে জঙ্গল। বহিরাগতদের আনাগোনায় আবাসনে থাকা পরিবারগুলো সন্ধ্যার পর থাকে ভয়ে। যদুবয়রা আবাসন ১ গড়াই নদীর ভাঙ্গনে ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে ।

 

আবাসন প্রকল্পের ঘরে বসবাসকারী জবেদা খাতুন, রুবেলা, আশরাফুল ইসলাম ও আনোয়ারা খাতুন বলেন, ১৮ বছর আগে বিদ্যুতর মিটার বিস্ফোরণে ১০টি ঘর, একই কারণে সাত বছর আগে ১০টি ঘর ও দুই বছর আগে আরও ১০টি ঘর পুড়ে গেছে। সেই সব ঘর সংস্কার করা হয়নি। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আসে। বর্তমানে আমার যেসব ঘরে বসবাস করি, সেগুলোও ভাঙাচোরা। ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে। জরাজীর্ণ ঘরে আমরা খুব কষ্টের মধ্যে আছি।

১২টি টিউবওয়েলের মধ্যে ১০টি অনেক আগে নষ্ট হয়ে গেছে। দুটি টিউবওয়েল থাকলেও ঠিকমতো পানি উঠে না, অকেজো হয়ে গেছে প্রায়। বাথরুমগুলোও অনেক আগে ব্যবহারের অযোগ্য। টিউবওয়েল ও বাথরুমের অভাবে আমাদের খুব কষ্ট হয়। অনেক দূরে থেকে পানি এনে খেতে হচ্ছে। নদীর চরে বাথরুম করতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভাঙা টিনের ফাঁক দিয়ে ঘরের মধ্যে পানি পড়ে। ঘরের জিনিসপত্র ও বিছানা ভিজে যায়। আমরা অনেক কষ্টে আছি। এখানে অনেক মানুষ বসবাস করতো। সমস্যার কারণে ৮০ পরিবারের মানুষ চলে গেছে। আমরা ৪০ পরিবার কষ্ট করে পড়ে আছি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আবাসনের ১২০ ঘরের মধ্যে পুড়ে যাওয়া ৩০টি ঘরসহ ৭০টি ঘর পরিত্যক্ত অব¯’ায় পড়ে আছে। যেগুলোতে মানুষ বসবাস করছে সেগুলোরও বেহাল দশা। বেশিরভাগ ঘরের টিনের ছাউনি ও দেয়াল মরিচা ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে। টিউবওয়েল ও শৌচাগার গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। পরিত্যক্ত ঘরগুলো আগাছায় ছেয়ে গেছে।
হাবাসপুর আবাসনের সভাপতি আজাদ শেখ বলেন, আমি এই আবাসনে ১৯ বছর ধরে বসবাস করি। ঘরগুলো জরাজীর্ণ, টিউবওয়েল, বাথরুম, যাতায়াতের রাস্তার খুবই সমস্যা। আমরা বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য ঘরে বাস করছি। কিš‘ সেগুলো সংস্কার করা হয় না। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। সত্তোরোর্ধ রিজিয়া খাতুন বলেন, এই আবাসন চালু হওয়ার এক সপ্তাহ পরে আমরা এখানে এসেছি। ভূমিহীন গরীব মানুষ আমরা। জায়গা জমি নেই বলেই এখানে থাকি। আমাদের ঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। এখন আমাদের খুবই কষ্ট। সেই কষ্টের কথা বলা যায় না। বৃষ্টি আসলে জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে পাখির মতো ঘরের কোনে থাকি। এখান থেকে অনেকে চলে গেছে। আমাদের যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। সরকারের কাছে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন ও নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নয়ন আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেন নি। এবিষয়ে কুমারখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, আবাসন প্রকল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ আসলে তাদের সমস্যা সমাধান করা হবে।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে তিনি বলেন, বরাদ্দ আসলে তাদের সমস্যা সমাধান করা হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর