কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সাংবাদিক মিজানুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে ওই সাংবাদিক নিজেই বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের দুই ছেলেসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এছাড়াও উক্ত মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪ জন আসামি রয়েছে।
আসামিরা হলেন-উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁর দুই ছেলে মো. উকিল ওরফে ফিরোজ (৩৪) ও নাজমুল হোসেন ( ৩০)।
অন্যান্যরা হলেন, ইউনিয়নের ঘোষপুর হাট গ্রামের বারিক খার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩২), ভূট্টো খার ছেলে হাসান শেখ (২৮) ও ইলিয়াস হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন।
মামলার বাদী সাংবাদিক মিজানুর রহমান দৈনিক স্বতঃকন্ঠ ও দৈনিক আজকের আলো পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি এবং চরসাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিজান ব্যবসায়ীর পাশাপাশি সাংবাদিকতা করেন। সাম্প্রতিক সময়ে চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগে তথ্য সংগ্রহ করেন তিনি। বিষয়টি টের পেয়ে গত বুধবার (১০ মে) রাত ১০ টার দিকে সাদিপুর বাজার এলাকায় চেয়ারম্যানেরর দুই ছেলে উকিল ওরফে ফিরোজ (৩৪) ও নাজমুল হোসেন (৩০) এবং তাঁর সঙ্গীরা হাসুয়া, রড, কাঠের ও বাশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে মিজান নিলা ফোলা জখম হয়। এছাড়াও তার বিকাশ দোকানের ড্রয়ারে থাকা নগদ টাকা, তথ্য সম্বলিত ১৫ হাজার টাকা মূল্যের স্মার্টফোন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সিম নিয়ে যায়।
আরও জানা গেছে, হামলায় সাংবাদিক মিজান আহত হলেও হাসপাতালে যেতে বাঁধা প্রদান করে চেয়ারম্যান বাহিনী। পরে গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী পাবনা জেলার পুলিশের সহযোগিতায় পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। ঘটনার পরদিন গত বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন তিনি।
সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, পরিষদের গুদামে ভিজিএফ চাল অবশিষ্ট আছে এমন অভিযোগ পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করি। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেয়ারম্যানের দুই ছেলেসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী রাতে হামলা চালায় আমার উপর। আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করেছে। তথ্য সম্বলিত ফোনটিও নিয়ে গেছে। ন্যায় বিচারের আশায় মামলা করেছি।
চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী খাঁ বলেন, সাংবাদিকের হামলার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তবে আমার ছেলেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।