কুমারখালীতে চায়না দুয়ারী জালের প্রয়োগ বৃদ্ধির ফলে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশী প্রজাতির মাছ
এস এম রুলন উদ্দিন স্বাধীন : চায়না দুয়ারী জালের আগ্রাসন থেকে যদি মৎসের প্রজন্ম রক্ষা করা না হয় তাহলে অচিরে-ই মৎস শূন্য হয়ে যাবে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়। মাছ ধরার জালের নাম রিল জাল বা চায়না দুয়ারি। এসব জালকে স্হানীরা রাক্ষসী জাল বলে চেনে। ভয়ংকর এ জালের ব্যবহার বন্ধ না হলে স্হানীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির আশস্কা দেখছেন এলাকাবাসী। চায়না দুয়ারি ( রাক্ষসী জাল) এক ধরনের বিশেষ ফাঁদ। এটি প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ফুট লম্বা। ছোট ছোট কক্ষ বিশিষ্ট খোপের মত। এ জাল খাল- বিল -নদী- নালা ও জলাশয়ের বাঁশের খুঁটির সঙ্গে জালের দু , মাথা বেঁধে রাখা হয়। ছোট বড় সব ধরনের মাছ এ জালে আটকা পড়ে । বড় খাল বা বিলে পাতা হচ্ছে জাল। মাছ ধরতে ৪/৫ ঘণ্টা পরপর তোলা হয় এসব জাল। জাল তোলার পর দেখা যায় বড় মাছ তো আছেই ক্ষুদ্র পোনা মাছগুলোও রক্ষা পাচ্ছে না এসব জাল থেকে। এই চায়না জালে ১০ কেজি ওজনের মাছ থেকে, ছোট, ছোট মাঝারি মাছ এমনকি মাছের ডিমও আটকে যায়। ডিম আটকে গেলে ঐ জাল ডাঙায় উঠানোর পর ডিম গুলো এমনিতে নষ্ট হয়ে যায়। নদী খাল বিলের তলদেশ এই জাল দিয়ে মাছ শিকার করলে, কোন মাছ আর বাঁচার উপায় থাকেনা। সব ধরণের মাছ ধরা পড়তে বাধ্য। এ ব্যাপারে স্থানীয় মৎস ব্যববসায়ী মো: সুজন আলী পলাশ জানান, চায়না দুয়ারী জালের অতিরিক্ত ব্যবহারে ধ্বংশ হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের প্রজাতি। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন আইনের যথাযথ প্রয়োগ। কারণ, এক শ্রেণীর অসাধু মৎস শিকারীরা চায়না দুয়ারী জাল ফেলে উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ের মাছ ও মাছের বংশ নিধনে তৎপর রয়েছে। তাই অনতি বিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।