মাদক মামলায় অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের বিতর্কিত , সমালোচিত ও লাস্যময়ী অভিনেত্রী পরীমণি। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ২১ মিনিটে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীর কাছে তাকে হস্তান্তর করেছেন কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ। পরীকে নিতে কারাফটকে উপস্থিত ছিলেন তার খালু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। পরে সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে গাড়িতে পরীমণিকে নিয়ে কারাফটক ত্যাগ করেন তারা।
এসময় সাদা গাড়ির সানরুফ খুলে উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে পরীমণি হাত নেড়ে ভক্তদের ভালোবাসা জানান। কিন্তু অনেকের চোখ আটকে গেছে হাতের তালুতে আঁকা একটি লেখায়- ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। যার বাংলা অর্থ, ‘আমাকে ভালবেসো না কুকুর’। স্বাভাবিকভাবেই এমন ছবি প্রকাশের পর প্রশ্ন উঠেছে, কাকে বা কাদের এ বার্তা দিলেন চিত্রনায়িকা?
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ চর্চা হচ্ছে। তবে অনেকে এমনও প্রশ্ন তুলেছেন কারাগারে পরীমণি মেহেদী পেলেন কীভাবে?
পিন্টু খান নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘কারাগারে বিউটি পার্লার আছে?’। সাকিল মোল্লা নামে একজন লিখেছেন, ‘সদা হাস্যেজ্জ্বল পরীমণির জন্য শুভকামনা রইলো’। এর আগে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে পরীমণির জামিনের আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। নারী, অভিনেত্রী ও অসুস্থতা বিবেচনায় ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তিনি পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু গতকাল তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছায় মুক্তি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।
এদিন পরীমণির পক্ষে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান, নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী, কামরুজ্জামান চৌধুরীসহ অনেকে। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আদেশ দেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর বনানীর বাসায় প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র্যাব সদর দফতরে। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করে।