দুর্ভিক্ষ
কে,এম ,তোফাজ্জেল হোসেন( জুয়েল খান)
বাড়ছে বঙ্গপাল করো নাই অর্ধেক গ্রাস বরফ গলে
শক্তিধর জীবানু করছে হাত ফাত মনুষ্য জাত আজব
বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আজ হায় হায়
কি সর্ব নাশ বিশ্ব এখন হুমকিৱ মুখে ছট ফটায়ে মৱে
ছোঁয়া লেগেছে তাই আমাদেৱ ও দেশটিতে আমি
এক দুর্ভিক্ষের কবলে আসে না প্রভাত মোর হয়না দেখা
প্রভাতের রবি দিকে দিকে আমি দেখি ধূধূ মরীচিকা !!
তপ্ত তেপান্তর দেখি প্রকাশ্য দিবালোকে শিয়াল শকুনের
টানা টানি কৃষ্ণ ঠাকুরের উলঙ্গ কীর্তন দুর্ভিক্ষের রাত্রি
নামে বারো মাস ভয়াবহ ২০২৩ দিকে দেখি
শুধু প্রীত বন্ধনের সর্বনাশ মোদেৱ দেশে জনে জনে মনে মনে
দীর্ঘশ্বাস বাতাসের সনে ভেসে বেড়ায় ঠাই পাবার নাই ?
আর সাইক্লোন সিডরে ডালে ডালে জ্বলে ওঠে আগুন
দিবালোকে দেখি ধর্ষণ, দেখি মায়ের ভাষা ওই কর্কশ ধরনের
আশা রাখি বুকে পায় না কিছুই তবু নয়নে দেখি চাহনি
করুণ আমার সোনার দেশে অবশেষে নামবে দুর্ভিক্ষ
জমে ভিড় ভ্রষ্টনীড় নগরে ও গ্রামে দুর্ভিক্ষের জীবন্ত মিছিল পথে ।
পথে দলে দল দুর্ভিক্ষের শোভাযাত্রা চলে প্রার্থনা-ক্লান্ত
তীব্র ক্ষুধা অন্তিম সম্বল রাজপথে মৃতদেহ এই দিবালোকে
নিরন্ন আমার দেশে আজ টলোমলো এ দুর্দিন থরোথরো
জীর্ণ দুর্ভিক্ষ মড়কে আজ ক্ষুধার কাফনে তার সর্বগ্রাসী
মৃত্যু-অংগরাখা এ যেন ২০২৩ এর আগমন বার্তা
পদ্মার পাড়ের মত ক্ষীয়মান জনতার তীর সামান্য অস্তিত্ব নিয়ে,
শঙ্কাতুর বুকে জেগে ছিল ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষ বধির শোষণের
পূর্ণ দেহ দেখা দিল পূর্ণ রূপ ধরি সে কী আর্তনাদ মৃত্যু সংখ্যাহীন ক্ষুধিতের ভীতি পদ্মার ভাঙনে এসে জমা হ’ল বুভূক্ষ শর্বরী গড়াই নদীর তীৱে এসে তাৱ ঘৃণা এ থেকে কারোৱ হয়তো নিস্তার হবে না এ যেন সর্বনাশা দুর্ভিক্ষ ২০২৩ আকাশে বাতাসে হচ্ছে প্লাবিত বাঁচানোর মালিক
ওই প্রভু দয়াময় বারে বারে আজি ডাকি তারে ?
সর্বদা সর্বময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজেতে নাই করি হেলা
দুর্ভিক্ষ কেটে যাক সকাল রাত্রি সন্ধ্যাবেল গাছে গাছে
পাক পাখালির কল কাকলি মুখরিত হয়ে থাক সর্ব অঙ্গে
জুরি রাখাল ছেলেরা সর্বদা ফলাক ভূমিতে ফসল ভরে
থাক মোদের দেশে সুখ আনন্দ হাসি ডাল ভাত পেট ভরে খেয়ে নিজ নিজ কাজ করি সকলে মিলে একসাথে মোরা জাত বিভেদ ভুলে গিয়ে আজ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করি ।।