টাকা
কে,এম,তোফাজ্জেল হোসেন( জুয়েল খান)
কমলাপুর, খোকসা,জানিপুর,কুষ্টিয়া,বাংলাদেশ
টাকা থাকে মন্ত্রী বাড়ি টাক থাকে প্রধানমন্ত্রীর ঘড়ের এক
কোনে টাকা নিয়ে ধর্ম ঘট টাকা নিয়ে চলে অনসন টাকা
বেড়ায় দাওয়াত খেয়ে সবার ঘরে ঘরে সেই টাকাকে করলে
ভাগ রক্ত বেড়ই না এক ফোঁটাও জর পদার্থ সে সেই টাকার
পিছে ঘোরে দুনিয়া ধরে যে দু মুঠো অন্য যোগাতে পেটের
ক্ষুধার জ্বালায় টাকা কি হবিরে মিনসে মনে যদি থাকে
ভালোবাসা না হবি সতিন সব ঘরেই তোর আশা যাওয়া এক
ঘড়ে দশ জনে ঠাসা টাকা ঐ পারার ঐ বেশ্যা আবার কখন
মাছ আওলা কখন বাড়ি ভাড়া কখন বাইজি বাড়ি কখন
মসজিদ কখন মন্দির বা গির্জা আবার কখন ডোম মুচি
মেথর টাকা তুই হবিরে মিনসে সবার আদরে আদরে মনে
যদি না থাকে দোম ও রকম টাকা চাইনে যা বাবুদের ঘরে
ফুঁসে ওঠে সুমুদ্রের গর্জনের মতন যখন যার হাতের ছোঁয়া
পাচ্ছে তখনি তার মনের ভেতর বাঁচবার আশা জাগছে ঐ
বাইজি বাড়ি রাত কাঁটাচ্ছে টাকা তুই হবি নাকি আজ মিনসে
সব ক্ষমতা তোর হাতে প্রেম মন্ত্রী বা ভালোবাসা মন্ত্রী তুই
ছাড়া আজ মিথ্যে টাকা তুই আজ তৌজর খালা যখন যার
তখন তার তবু এক খান কথা সাদা- কালো আর অসৎ টাকা
পাড়ার লোকেদের হাতে নাচছে আজ হচ্ছে না ভেদা ভেদ
ডুবছে পাপে মসজিদ মন্দির গির্জা নোংরা টাকার মনো ভাবে
আজ করি ভাগ বেরক রক্ত কালো টাকা হোক কালো নতুবা
টাকা হোক সাদা খারাপ টাকা বাইজির বাড়ি প্রতি রাতে দেয়
সারা ভালো ছাপানো নোট ভালোকে নিয়েই করুক ভোট
না চাইনা মন্দ টাকার ভিরে সমাজ দুষিত হোক টাকা আছে
তাই বলে তুমি হবে রাজা টাকা নেই তাই হলেম আমি প্রজা
টাকার ঘ্রাণে তুমি হয়েছ অন্য কিছু আমিই পেয়েছি সাজা
টাকা আছে বলে তাই তুমি সাজ মহাজন তুমি সাজ গুরুজন
আমি সাজি ভিখারি আর তোমার কত বাহাদুরী টাকা আছে
বলে তাই চক্রবৃদ্ধিহারে শুদে লাগিয়ে টাকা কামাই টাকা
আছে তাই তুমি নেতা গরীবের ঘরে ঘরে নাই তোমার ঘরে
শীতের কাথা টাকা আছে তুমি ক্ষমতাবান ক্ষমতার বলে তুমি
দখল করেছ জমি নদী নালা পরের খাল তোমার ঘরে
রিলিপের চাউল না হলে রান্না হয় না রোজ ঢোকে রিলিফের
চাউল সামনে পিছন দিয়ে তোমার মামা ভাই বোনরা খেয়ে
আছে মহা সুখে রিলিপের চাউল গরিব মানুষ আজ ও পায়
না টাকা দিয়ে টাকা আছে বলে তুমি বুদ্ধিজীবি আসলে
সব একাত্তরের রাজাকার টাকায় কি হয় বল টাকাতে কি না
হয় বল ভোতা দাও হয়ে যায় সোজা তবুও টাকা ঐ পাড়ার ঐ
তৌজর খালা টাকা সাদা আর কালা টাকায় ক্ষমতা আসে
ক্ষমতায় সব ভাসে জনগন ভাসে অধিকার হাসে ইতিহাস
ভাসে পাতিহাঁস ও ভাসে ছচ্ছ কঁচের মতন তোমার নামে
টাকার জীবণি বই আছে সেটাও তুলা ঘড়ের তাকে তোমার
নামে ঐ টাকার জাল সনদ আছে তোমার আছে শুধু
তরিকাটা পালন সাধু সেজে বসে বসে ঘুষের টাকা খাওয়া
নতুবা চলা কালো টাকায় আসা যাওয়া মস্ত বড় ফ্লাট বসে
বসে খাও গাঁজা মাটির কলকে ছাড়া গানের তালে নেচে নেচে
আমারি সোনার বাংলা আমি কবি আমার কবিতার বই সৎ
পথের শত টাকা তোমার চিন্তারা আকাশের উপরে গ্যাস
বেলুনের মতন ফুলা তবু বল্লব টাকা ঐ পাড়ার ঐ তৌজর
খালা যত খাবা ততই পস্তাবা আজরাইল খাবেনা ঘুষ সাদা
কলো দেখে কাফনের কাপড় চাবেনা ঘুষ রংঙ্গিন কপড় হতে
ফুল সিরাত খাবেনা ঘুষ পার হবে তা কেমন করে টাকার
বোঝা সস্তা সেন্টিমেন্ট পরে খাবে গড়া গরি নিয়ে টাকা যার
আছে গাদা গাদা মরার খাটিয়ায় চড়ে নিতে পারবা কি বল
সাদা বা কালো বুঝে টাকা যখন মিত্যু পথে কবরের দিকে
যাবে তোমার টাকা ব্যঙ্গ করে তোমাকেয় গালা গালি দেবে
ব্যাংকে বা ঘড়ে শুয়ে করবে টাকা কানা ঘুসা কেন সাদা তুই
কেন কালা টাকারে টাকা ঐ পাড়ার তুই তৌজর খালা ।।