দিগন্তের নীলিমায় হৈমন্তিকার হীমে কাঁপে শরীর থরথর
ঝরে নিকোটিন বিষবাষ্প সমস্ত গতর চুঁয়ে চুঁয়ে
দরদর।
হেমালিনী বংশীবাদিকা বাজায় বাঁশী বেশ দারুণ
বুক ফেটে চৌচির ফাগুন দাপটে ব্যাথিত করুণ।
দীপান্তিকা চৈত্রিক সংক্রান্তিতে কাতর আমরা ভীষণ,
ছলোৎছোল পাড়ভাঙা পদ্মিম ঢেউয়ে কী তটস্থ
আসন!
বেঁদে পল্লীর সন্তান তবে কী তাবৎ আদম সন্তান,
রিক্ত,লাজোয়াব,মাঝ পথের ট্রাফিক আইল্যান্ড?
বাকুড়ার জীর্ণ গোয়ালে পড়ে থাকা ছিন্ন চর্যাপদ
কিম্বা সেকালে মিঠেলসুরে পড়া পুঁথির মিষ্টস্বাদ,
পাওয়া না পাওয়া মানবিক উঠানের যাপিত জীবন
হৃত,সর্বশান্ত জুয়াড়ীর নাকি এ পর্যদুস্ত পশ্চাদধাবন?
নীহারিকা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে এখোনো দুর্দান্ত চলছি পথ,
অবজ্ঞাত ঠিকানা,অনিশ্চিত গন্তব্য তবু অটুট মনোরথ।