****জিয়া উল হক এর কলাম
প্রথমে মিজানুর রহমান আজহারি, এর পরে মুফতি আমির হামজা, একজনকে নানা ছল ছুতায় দেশ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। অন্যজনকে এক হাস্যকর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই দু’জন আলেমের একটা বিশেষ বৈশিষ্ঠ ছিল, তাঁরা তাদের উপস্থাপনাকৌশলে দেশে যুবক শ্রেণির কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। ফলে কলেজ ইউনিভার্সিটির যুবক যুবতী, যাদের কাছে ইসলাম, কুরআন হাদিসের বাণী পৌছুনো যায়নি। সেই অভাবটা পূরণ করে চলেছিলেন যে ক’জন জনপ্রিয় আলেম, তাদের মধ্যে সবার আগে এই দু’জনের নাম আনা যেতে পারে। অথচ আজ দেখতে পাচ্ছি সেই দু’জনকেই নানা ভাবে, নানা কলা কৌশলে থামিয়ে দেবার আয়োজন চলছে।
একবিংশ শতাব্দিতে তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে কি আপামর জনগণকে কোন আদর্শের বাণী থেকে এভাবে দূরে রাখা যায়? সেটা অসম্ভব এক ব্যাপার। অথচ এই সহজ সত্যটাই যেন প্রশাসনের কেউ কেউ বুঝতে পারেন না, বা বুঝতে চান না। তারা এ ধরনের হঠকারি কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারকেই জনগণের সামনে ইসলামবিরোধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তৎপর। সরকারের বরং উচিৎ তার প্রশাসনে লুকিয়ে থাকা এই সব ইসলামবিরোধি কর্তাব্যাক্তিদের সনাক্ত করা। এটা সরকারের পলিসি মেকার বা নীতি নির্ধারকদের দায়িত্ব।
যারা মিজানুর রহমান আজহারি কিংবা মুফতি আমির হামজা বা এরকম ইসলামি বক্তাদের কন্ঠরোধে কষ্ট পাচ্ছেন, তাদেরও একটা দায়িত্¦ আছে বটে।
দায়িত্ব হলো; আপনি আপনারা বেশি বেশি করে কুরআনের ক্রিটিক্যাল স্টাডি করুন, আপনার ডিসিপ্লিন, তথা পঠিত সাবজেক্টকে কুরআনের জ্ঞান দিয়ে সাঁজিয়ে দিন, প্রয়োজনে কুরআনের নানা মর্মবাণী নিয়ে লেখা লেখি শুরু করুন, যেভাবে পারেন, আপামর জনসাধারণের কাছে তা পৌছে দিন বা ছড়িয়ে দিন। কুরআনের বাণী , ইসলামের জ্ঞান থেকে যেন কোন একজন যুবক যুবতীও বঞ্চিত না রয়ে যায়। মানা বা না মানা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু বাণী পৌছে দিন। এভাবেই হোক আপনার আমার প্রতিবাদ। এটাই হোক প্রতিবাদের পথ ।