কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দাফনের প্রায় একমাস পর আদালতের আদেশে ময়না তদন্তের জন্য গৃহবধূ শিলা (৩২) লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত ওই গৃহবধূ বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের আসাদ মুন্সী ওরফে উজ্জলের স্ত্রী।
সোমবার দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বনি আমীনের উপস্থিতিতে কুমারখালী থানা পুলিশ বাঁশগ্রাম বাজার সংলগ্ন কবরস্থান থেকে গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পীযুষ কান্তি কর্মকার বলেন, গৃহবধূ শিলার লাশ দাফনের ৬ দিন পর তার ভাই আব্বাস মিয়া থানায় হত্যার অভিযোগ করেন। পরে আদালতের নির্দেশে গত ৪ মে কুমারখালী থানায় মামলা রুজু হয়। (মামলা নং ৬।) পুলিশ তদন্তের স্বার্থে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেেিত আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেয়।
নিহতের বড় ভাই ও মামলার বাদী আব্বাস মিয়া বলেন, ১৪ বছর আগে উজ্জলের সাথে বোনের (শিলা) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী আসাদ মুন্সী ওরফে উজ্জল সেনাবাহিনীর চাকুরীর টাকার দাবিতে বোনের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। ১৯ এপ্রিল দুপুরে শিলাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। ২০ এপ্রিল সকাল ৯ টায় বাঁশগ্রাম বাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মামলার বাদী আরো বলেন, নিরাপত্তার অভাবে কাউকে কিছু জানাতে পারিনি। পরে বাড়ি ফিরে আত্মীয়দের সাথে পরামর্শ করে ২৫ এপ্রিল রাতে কুমারখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।