উপলব্ধি
হারিছা খানঁম সুখি
স্কুল জীবনের। আমাদের ছোট বেলার কথা। বিধু ,বিবা,বিলু ,বিকি,বিনি, আর ও অনেকেই আমরা একসাথে পড়াশোনা করতাম। তাঁর মধ্যে বিধু ,বিবা,বিলু,বিকি ,বিনির মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিলো।। একজন আর একজন কে ছাড়া চলতেই পারতো না।। বিকি আমাদের মধ্যে বড় ছিলো । ও ছাত্র হিসেবে ও ভালো ছিলো ।আর মানুষ হিসেবে ও ভালো ছিলো।
আর বিলু পড়াশোনায় একটু কাঁচা হলেও। মানুষ হিসেবে ভালো। নিজেও হাসিখুশি থাকতো। অন্য কেও হাসাতো।অন্য কে হাসোনোই জানো তার একমাত্র কাজ। বিধু,বিবা,বিনি তারা ও ভালো ছিলো টক ,ঝাল ,মিষ্টি । এক একজন অন্য রকম হলেও তাদের বন্ধুত্বের কোনো তুলনা হয় না।। স্কুল এ তাড়া ব্যাপক পরিচিতি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এ সকল প্রাইজ এ জেনো তাদের হাতে যেতো। এ যেনো খেলা শুরু হওয়ার আগেই টফিতে তাদের নাম লেখা থাকতো।। স্কুল এ কোনো অনুষ্ঠানে বা কাজে তাদের এ যেনো ডাক মিলতো। কিন্তু কোনো এক কারনে বিনি ,বিধু,ও বিকি, – বিলুর সাথে রাগ করে এবং কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এভাবেই বেশ কয়েকটি সপ্তাহ কেটে যায় । তারপর বিলুর জন্য দিন আসে আর সেই কারনে বিলু সবাইকে চকলেট দিচ্ছিলো।।
কিন্তু বিনি ,বিধু,বিকি তা নিলো না।উল্টো রাগের মাথায় চারটা কথা বলে দিলো।। এটা স্কুলের এ একজন শিক্ষিকা দেখে নিলো।। তারপর সে বিলুকে জন্মদিন এর শুভেচ্ছা দিয়ে বললো সে একটা গল্প বলবে। আমরা সবাই শোনার জন্য আগ্ৰহী হয় । এবং শিক্ষিকা বললো যে সে একদিন রান্না করেছিলো তা খুব খারাপ খেতে হয়েছিলো। এবং তার মা,বাবা,ও বড় ভাই খেয়ে বললো খাবার খুব ভালো হয়েছে তার প্রশংসা করলো। সে খুবি খুশি হলো।। কিন্তু সে যখন নিজে খেলো দেখলো খাবার ভালো হয়নি খুব খারাপ রান্না হয়েছে ।নুন এ বেশি মরিচ এ কম। কিন্তু তাও তার মা,বাবা তাকে উংসাহ দেওয়ার জন্য বললো খাবার ভালো হয়েছে।। গল্প টা শোনার পড় তখন যদি ও কিছু বুঝতে পারিনি। তবে আজ এতো বছর পর ম্যাম এর বলা গল্পটার মাহাত্ম্য বুঝতে পারলাম।