কুষ্টিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় – ডা. শফিকুর রহমান
ইনসাফ ভিত্তিক দেশ গড়ে তোলার জন্যই আমাদের এই সংগ্রাম
মাহমুদ শরীফ, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমি বলবোনা দেশটা স্বাধীন হয়েছে, আমি বলবো দেশটা জুলুম মুক্ত হয়েছে। আপনার দলের দুঃসময়ে আপনি পালিয়ে গিয়েছেন, অথচ গত ১৬টি বছর যাবৎ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা আপনার নানান অত্যাচার-গুম-খুন ও জুলুমের স্বীকার হয়েছে। তবুও এবিপ্লবী কাফেলার সৈনিকেরা নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে আপনার মতো পালিয়ে যায়নি। তিনি আরও বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের নয়, বিশেষ দলের নয়, শুধু ছাত্র ছাত্রীদেরও নয়, বরং ছাত্র ছাত্রীদের নেতৃত্বে আপামর জনতার। তিনি আরো বলেন, আপনার লোকেরাই আপনাকে মাস্টারমাইন্ড ও গডমাদার বানিয়েছে। এখন যারা ধরা পড়ছে তারা বলছে, এটা আমি করি নাই, অমুকের হুকুমে করেছি। তিনি আরো বলেন, কেমন শাষন করলেন, বললেন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু সুন্দর বেহেশতী বাগান পয়দা করলেন- তাহলে কেন সাড়ে ১৫ বছরের মাথায় এই ভাবে আপনারা দেশ ছেড়ে গেলেন?
প্রধান অতিথি ডা. শফিকুর রহমান আরোও বলেন, আমাদের এই দেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান এই ৪ ধরনের মানুষ এখঅনে আছেন। আবার কিছু সংখ্যক নাস্তিকও আছেন। এদের সংখ্যা বড়ই কম কিন্তু তারা চিৎকার দিয়ে বড় জ¦ালায় যাচ্ছেন। আমরা চায় এই দেশে সকল ধর্মবর্ণের মানুষ মিলেমিশে সমান নাগরিকের ভিত্তিতে আমরা একটি শান্তির দেশ গড়ে তুলবো। এ রকম ইনসাফ ভিত্তিক দেশ গড়ে তোলার জন্যই আমাদের এই সংগ্রাম।
গতকাল রোববার কুষ্টিয়ায় “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। সকালে কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন আহমেদ শিক্ষা পল্লী পার্ক অডিটোরিয়ামে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আয়োজনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারি সুজাউদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেনজামায়াতে ইসলামীর যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের নির্বাহী সদস্য ও পরিচালক মোবারক হোসাইন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া যশোর অঞ্চলের টিম সদস্য ড. আলমগীর বিশ্বাস, খন্দকার এ কে এম আলী মহসিন, আব্দুল মতিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরার জেলা আমীরগণ, মুফতি আমীর হামজা, কেন্দ্রিয় শূরা সদস্য শাহজাহান আলী মোল্লা, জামায়াতের কুষ্টিয়া জেলা নায়েবে আমীর আব্দুল গফুর, কুষ্টিয়া শহর শিবিরের সভাপতি হাফেজ সেলিম রেজা, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি ইমরান হুসাইন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক মুস্তাফিজুর রহমান, তৌকির আহমেদ, পারভেজ মোশাররফ, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক নুরুল আমিন জসীমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। শহীদ পরিবারের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ আব্দুল্লাহর পিতা লোকমান হোসেন, শহীদ বাবলুর ভাই সুজন ফারাজী ও আল আমিন।
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা রাষ্ট্রের চোখ ও জাতির বিবেক, আমাদের মতো আপনারাও বন্দী জীবন কাটিয়েছেন, চাইলেও মনখুলে কলম ধরে লিখতে পারেননি, যারাই কলম ধরতে গিয়েছে তাদেরকেই বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও গুম/খুনের স্বীকার হতে হয়েছে। তবে এখন আপনারাও স্বাধীনতা পেয়েছেন, এবার মনখুলে লিখুন, আমি যদি নিজেও ভুল করি আমাকেও ছাড় দিবেন না।
মতবিনিময় সভা শেষে কুষ্টিয়া জেলার মোট ১৪টি শহীদ পরিবারের হাতে নগদ ২লক্ষ টাকা করে সর্বমোট ২৮লক্ষ টাকা প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান।
কুষ্টিয়া জেলার সকল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন ইউনিট, ওয়ার্ডসহ ইসলামী ছাত্র শিবিরের দায়ীত্বশীলরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
– ডা. শফিকুর রহমান
ইনসাফ ভিত্তিক দেশ গড়ে তোলার জন্যই আমাদের এই সংগ্রাম
মাহমুদ শরীফ, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমি বলবোনা দেশটা স্বাধীন হয়েছে, আমি বলবো দেশটা জুলুম মুক্ত হয়েছে। আপনার দলের দুঃসময়ে আপনি পালিয়ে গিয়েছেন, অথচ গত ১৬টি বছর যাবৎ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা আপনার নানান অত্যাচার-গুম-খুন ও জুলুমের স্বীকার হয়েছে। তবুও এবিপ্লবী কাফেলার সৈনিকেরা নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে আপনার মতো পালিয়ে যায়নি। তিনি আরও বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের নয়, বিশেষ দলের নয়, শুধু ছাত্র ছাত্রীদেরও নয়, বরং ছাত্র ছাত্রীদের নেতৃত্বে আপামর জনতার। তিনি আরো বলেন, আপনার লোকেরাই আপনাকে মাস্টারমাইন্ড ও গডমাদার বানিয়েছে। এখন যারা ধরা পড়ছে তারা বলছে, এটা আমি করি নাই, অমুকের হুকুমে করেছি। তিনি আরো বলেন, কেমন শাষন করলেন, বললেন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু সুন্দর বেহেশতী বাগান পয়দা করলেন- তাহলে কেন সাড়ে ১৫ বছরের মাথায় এই ভাবে আপনারা দেশ ছেড়ে গেলেন?
প্রধান অতিথি ডা. শফিকুর রহমান আরোও বলেন, আমাদের এই দেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান এই ৪ ধরনের মানুষ এখঅনে আছেন। আবার কিছু সংখ্যক নাস্তিকও আছেন। এদের সংখ্যা বড়ই কম কিন্তু তারা চিৎকার দিয়ে বড় জ¦ালায় যাচ্ছেন। আমরা চায় এই দেশে সকল ধর্মবর্ণের মানুষ মিলেমিশে সমান নাগরিকের ভিত্তিতে আমরা একটি শান্তির দেশ গড়ে তুলবো। এ রকম ইনসাফ ভিত্তিক দেশ গড়ে তোলার জন্যই আমাদের এই সংগ্রাম।
গতকাল রোববার কুষ্টিয়ায় “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। সকালে কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন আহমেদ শিক্ষা পল্লী পার্ক অডিটোরিয়ামে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আয়োজনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারি সুজাউদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেনজামায়াতে ইসলামীর যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের নির্বাহী সদস্য ও পরিচালক মোবারক হোসাইন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া যশোর অঞ্চলের টিম সদস্য ড. আলমগীর বিশ্বাস, খন্দকার এ কে এম আলী মহসিন, আব্দুল মতিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরার জেলা আমীরগণ, মুফতি আমীর হামজা, কেন্দ্রিয় শূরা সদস্য শাহজাহান আলী মোল্লা, জামায়াতের কুষ্টিয়া জেলা নায়েবে আমীর আব্দুল গফুর, কুষ্টিয়া শহর শিবিরের সভাপতি হাফেজ সেলিম রেজা, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি ইমরান হুসাইন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক মুস্তাফিজুর রহমান, তৌকির আহমেদ, পারভেজ মোশাররফ, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক নুরুল আমিন জসীমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। শহীদ পরিবারের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ আব্দুল্লাহর পিতা লোকমান হোসেন, শহীদ বাবলুর ভাই সুজন ফারাজী ও আল আমিন।
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা রাষ্ট্রের চোখ ও জাতির বিবেক, আমাদের মতো আপনারাও বন্দী জীবন কাটিয়েছেন, চাইলেও মনখুলে কলম ধরে লিখতে পারেননি, যারাই কলম ধরতে গিয়েছে তাদেরকেই বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও গুম/খুনের স্বীকার হতে হয়েছে। তবে এখন আপনারাও স্বাধীনতা পেয়েছেন, এবার মনখুলে লিখুন, আমি যদি নিজেও ভুল করি আমাকেও ছাড় দিবেন না।
মতবিনিময় সভা শেষে কুষ্টিয়া জেলার মোট ১৪টি শহীদ পরিবারের হাতে নগদ ২লক্ষ টাকা করে সর্বমোট ২৮লক্ষ টাকা প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান।
কুষ্টিয়া জেলার সকল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন ইউনিট, ওয়ার্ডসহ ইসলামী ছাত্র শিবিরের দায়ীত্বশীলরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।