সহচরী
মোসাঃ লিপি
কেমন আছিস বন্ধু আমার
পাই না কেনো দেখা?
তোকে ছাড়া রিক্ত আমি
লাগছে ভীষণ একা।
কতো প্রহর কতো নিশি
পথ পানে চেয়ে আছি ;
অজানা তে চলতি পথে
হয়গো যদি দেখা।
নিশি ভরে তোর ই তরে
সাজাই কথামালা।
স্মৃতি যেন আজকে সবি
সম পায়ে চলা।
সবুজ ঘাসে বিছায়ে পা
কৃষ্ণচুড়ার তলে,
বসতাম দুজন আপন ভোলা
গল্প করার ছলে।
রবি ঠাকুর,শরৎ বাবু
ছিলো আলোচনা,
কখন ও বা গল্প কথন
কখনো বা কাব্য লেনাদেনা।
তুই কি আজও গল্প লিখিস!
লিখিস নানা পদ্য?
নাকি সংসারেতে বাধা পরে
র ইলি সীমাবদ্ধ।
শুনেছিলাম মা হয়েছিস-
ফুটফুটে দুই কন্যা,
আলোয় ভরা জীবনে তোর
বইছে সুখের বন্যা।
চাকুরী টা ও হয়ে ই গেলো
মহান একটি পেশা,
প্রকাশিতে নিজেকে তুই
পেলি নতুন দিশা।
সুখের ছোঁয়ায় ভেসে ভেসে
ভুলেই গেলি অবশেষে!
তোর ই স্মৃতি আজো কাঁদায়
যুগ পেরিয়ে এসে।
হয় তো ভালো আছিস তুই
আমি ও আছি তাই,
তবুও কোথায় যেনো রিক্ততা আজ
তোকেই পেতে চাই।
অনেক অনেক কথা মালা
র ইলো জমা মনে,
লুকানো থাক মনের কোণে
নিছক অভিমানে।
আবার যদি হয় গো দেখা
কোনো শরৎ দিনে
বকুল তলে বসবো দুজন
সেই যে ঈশাণ কোণে।
ঘাসের সাথে কথা হবে
হবে ফুলের সনে;
উঠবে মেতে হৃদয় দুটি
স্মৃতি রোমান্থনে।
কিশোরী সেই দুটি হৃদয়
ত্রিশ পেরিয়ে
কতো কিছুই জীবন থেকে
গেলো হারিয়ে।
স্মৃতির পাতা হাতড়ে দুজন
ফেলবো আঁখিজল
কেমন হবে সেই মূহুর্ত
বলনা সখি বল?