তৃতীয়-পর্ব
ভূয়া কোম্পানির এক্সিকিউটিভ
হারুন আল রাশিদ
ব্যাগ হাতে মার্কেটের উদ্দেশ্যে বের হলাম। ব্যাগের ভেতরে মালের অনেকগুলো স্যাম্পল। সাথে রাসেদ। গাজীপুরের পুরোটাই আমার এরিয়া। যেই মার্কেটে খুশি যেতে পারবো। নিখিলের দোকানে চা খেতে খেতে সিদ্ধান্ত নিলাম, মেঘডুবি থেকে বের হয়ে প্রথমে কলের বাজার ঢুকবো। সেখান থেকে রাজ নারায়ণপুর।
কলের বাজার রাসেদের পরিচিত শামসু ভাইর দোকানে ঢুকেই শুরুর ধাক্কাটা খেলাম। শামসু ভাই আইটেমগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন। কিছু বলার আগেই তাকে ডিস্ট্রিবিউটর হওয়ার অনুরোধ করলাম। বললেন, ‘মনে মনে কোম্পানির খোঁজ করতেছি ডিস্ট্রিবিউটর হওয়ার জন্য।’ আমরা আশার আলো দেখতে লাগলাম। তখনও বুঝতে পারিনি একটু পর কি ঘটতে যাচ্ছে।
শামসু ভাইর মালের পর্যবেক্ষণ শেষ হলো। আমাদের দিকে তাকালেন চশমার ফাঁক দিয়ে। আমরা অপেক্ষমাণ। ভালোকিছু শোনার জন্য। কিন্তু না। ফাঁকা বেলুনের পরিনতি বরণ করলাম। আমার দিকে তাকিয়ে মুখটাকে শক্ত করে বিনয়ীভাব নিয়ে বললেন, ‘দেখেই বুঝতে পারছি আপনি শিক্ষিত মানুষ। এই ভূয়া কোম্পানির এক্সিকিউটিভ পদ আপনার জন্য সম্পূর্ণ বেমানান। আপনাদের সবগুলো আইটেম খুবই নিন্মমানের।’ তারপর অন্য কোম্পানির মালের সাথে মিলিয়ে পার্থক্য সুস্পষ্ট করে দিলেন।
আমার মানসিকতা বুঝতে পেরে রাসেদ আলম সাহেবের শেখানো কথাগুলো অশুদ্ধ উচ্চারণে বলতে লাগলো। শামসু ভাইর ধমক খেয়ে থেমে গেলো মাঝপথে। আমার হাতের কব্জিধরে এক প্রকার জোরকরেই বের হয়ে এলো। বাজারের পূর্ব দিকে গিয়ে চায়ের দোকানে বসলাম। চা খাওয়া শেষ হলে রাসেদ সিগারেট ধরালো। আমার ভালো না লাগলেও রাসেদের সিদ্ধান্তে রাজ নারায়ণপুর রওয়ানা হলাম।
হারুন আল রাশিদ
তরিনো
ইতালি