আফগানিস্তানের পুতুল সরকারের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন আশরাফ গনি। সরকারের একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, কাবুলে হামলা হবে না, এই শর্তে তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে।গুঞ্জন উঠেছে আশরাফ গনি পালিয়ে গিয়েছেন।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট গনির বাসভবনে রয়েছেন তালেবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বারাদর। কাতার এবং আমেরিকার কূটনীতিবিদরাও রয়েছেন সেখানে।
তালেবানের অস্থায়ী সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল সাত্তার মিরজাকওয়াল। রোববার স্থানীয় টোলো টিভিতে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বিবিসির
তিনি বলেন, একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কাবুলের ওপর কোন আক্রমণ হবে না।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবানের নেতারা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে যাচ্ছেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে রাজধানী কাবুলে ঢুকে পড়েছে তালেবান বীর যোদ্ধারা। চারদিক থেকে তারা শহরটিতে প্রবেশ করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রাজধানীতে প্রবেশের সময় তালেবান যোদ্ধাদের তেমন কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে না বলে কাবুল থেকে জানিয়েছেন বিবিসির সাংবাদিক ইয়ালদা হাকিম। তিনি এক দশকের বেশি সময় ধরে সেখানে কাজ করছেন।
আফগানিস্তানের নিরাপত্তাকর্মী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে।
তালেবানের এক নেতার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানী শহরটিতে মুক্তি যোদ্ধাদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে বলেছে তালেবান। কেউ শহরটি ত্যাগ করতে চাইলে, তাদের এ সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাহিনীটি। এ ছাড়া নারীদের নিরাপদে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের অল্প কয়েকজনের একটি ব্যাচ আফগানিস্তান ছেড়েছে, বাকিরা দেশটি ছাড়ার জন্য প্রস্তুত। তবে দূতাবাসের কার্যক্রম এখনও চলছে।