মাসুদ রেজা শিশির
মাত্র দেড় বছর আগেই পাংশা পৌরসভার অধীনে শহরের রেলগেট এলাকার সড়কটি সংস্কার করা হয়। এক বছর পার না হতেই সেই সড়কের বেহাল দশা। এরই প্রেক্ষিতে পাংশা হেড কোয়ার্টার-মৃগী জিসি সড়কের ১০.৯ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এ সড়কটি প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ১১ কোটি ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭ শত ৭১ টাকা ব্যায়ে নির্মান কাজ চলছে। এ সড়কে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাতের আঁধারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দেখা যায় শহরের রেল গেট থেকে ওয়ালটন মোড় পর্যন্ত সড়কের পাশে রাখা নিম্ম মানের ইটের স্তুপ, এ নিয়ে পথচারীদের মধ্যে নানা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ সময় স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, এই নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাতের আঁধারে কাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদার । যেন দেখার কেউ নেই। জানাগেছে, নাটোরের উত্তর বড়গাছা মের্সাস মীর হাবিবুল আলম নামক প্রতিষ্ঠান এ কাজ করছেন। সাব ঠিকাদার হিসাবে কাজ করেছেন আমিরুল ইসলাম মহাজন নামের এক ব্যাক্তি। এ সড়কের কাজ দেখ ভালের দায়িত্বে থাকা পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপ-প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম বলেন, কাজ তো ভালই হচ্ছে, এখানে রাবিশ ধরা নেই, তারা এখানে যে রাবিশ এনেছিল নিম্ম মানের সে গুলো সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ওই কাজ দেখ ভালের দায়িত্বে থাকা আব্দুল হাকিমের আচরণে মনে হয় সে ঠিকাদারের লোক, তিনি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে বলেন সাথে কিছু উৎকোচ অফার করেন, তবে রাতের বেলায় যে নিম্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছে এ বিষয়ে কোন সদুত্তর মেলেনি তার নিকট থেকে। এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কির্ত্তনীয় বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি, সেখানে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ওই নিম্ম মানের সামগ্রী না সরানো পর্যন্ত তারা কাজ করতে পারবে না। পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী জানান, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।