বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার সাথে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক খোকসার ফুলবাড়ি গ্রামে সিরাজ সর্দার কর্তৃক রাসুল (সঃ) কে কটূক্তি স্বামীর পরোকিয়া জেনে ফেলাই  কাল হলো রুমা’র ! প্রত্যাশার অপমৃত্যু :– রেদওয়ানুল করিম রনজু কুষ্টিয়ার খোকসায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত পাংশা,বালিয়াকান্দি ও কালুখালীর মানুষ হারুনকে এমপি হিসেবে চায় প্রশ্নবিদ্ধ আক্বিদা: ঐক্যের পথে বড় বাধা অভিমান : —-পান্না বদরুল >দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই ঐতিহাসিক বিজয়ের অংশীদার -মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।* কুষ্টিয়ায় সিরাতুন্নবী (সা) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৭টি বছর বাংলাদেশের জনগণের জীবনে ছিল দুঃসহ কালো রাত……….টাঙ্গাইলে ডা. শফিকুর রহমান দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে -ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। কবিতা বাংলাদেশের রজতজয়ন্তীতে কবিসম্মেলন অনুষ্ঠিত তারুণ্য নির্ভর ন্যায়- ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে -মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। শৈলকুপায় ১০১ সদস্যবিশিষ্ট মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠন এর কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ
বিশেষ ঘোষনা
বাংলাদেশ ভূমি ডটকম এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার মূল্যবান সাহিত্য-কর্ম প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ ভূমি’তে পাঠিয়ে দিন। এছাড়াও আপনার চারপাশের যে কোন খবর লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। আমরা বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে তা প্রকাশ করবো। যোগাযোগ: খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন, মোবাইল-  ০১৭৫০৪৯৫৮২০ , ই-মেইল: bangladeshbhumi@gmail.com, এছাড়াও ভিজিট করতে পারেন বাংলাদেশ ভূমি/ @Bangladeshbhumi / খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন ইউটিউব চ্যানেলগুলি। এখন থেকে নিয়মিত বন্ধ্যান্ত, যৌন, পাইলস, নাকের পলিপাসসহ যাবতীয় রোগের চিকিৎসা করছেন: খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডা. মো. জাহাঙ্গীর হুসাইন (ডি.এইচ.এম.এস; এম.এ) । খন্দকার হোমিও হল, মুসলিমপাড়া, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা। রোগী দেখার সময়: বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

ছোটবেলার ঈদ স্মৃতি

রফিকুল্লাহ্_কালবী / ৪৪৭ জন পড়েছেন
আপডেটের সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ মে, ২০২১, ১২:৩১ অপরাহ্ন

এখন যেমন মধ্যরাতে চাঁদ দেখার খবর আসে, আমাদের সময় এমনটি ছিলো না। ঈদের সম্ভাব্য আগের সন্ধ্যায় ছেলে বুড়ো সবাই মিলে পশ্চিমাকাশে তাকিয়ে থাকতাম- কে আগে বাঁকা কাস্তের মতো চাঁদকে দেখতে পারে। কেউ একজন দেখলেই হলো- ঐ যে চাঁদ, ঐ যে ছবুর আলীর বাঁশের ঝাড়ের মাথায়- হানেপ মোল্লার খড়ের পালার উপর দিয়ে চিকন চাঁদ সোনার লাহান চকচক করে। কিসের রেডিও কিসের টিভি? স্বচক্ষে চাঁদ দেখার মজাই আলাদা। শুরু হয় হৈ-হুল্লোর, কাল ঈদ কাল ঈদ বলে সে কি চেঁচামেচি! রাতে বিছানায় শুয়ে ঘুম আসে না, কখন সকাল হবে? ঈদের আগের রাত যেনো দুই রাতের সমান।
সকাল হওয়ার সাথে সাথে আব্বার সাথে গরু নিয়ে গাঙে চলে যাই। ঈদের দিনে ওগুলোকে পদ্মার পানিতে ঝাঁপাতেই হবে, না হলে সংসারে অমঙ্গল হয়। পানিতে নামিয়ে খড় দিয়ে ঘষে ঘষে গরুর গায়ে লেগে থাকা ময়লাগুলো পরিষ্কার করে তারপর শিং দুটো চেপে ধরে মাথাটাকে পানির নীচে চেপে ধরলেই গরুর গোসল শেষ। আমি বুছুরগুলোকে গোসল করাতাম আর আব্বা করাতেন বলদ ও গাভীগুলোকে। তারপর দুই টাকা দামের হাবিব সাবান গায়ে মেখে শুরু হতো আমাদের গোসল করার পালা। বছরে দুইবার গায়ে সাবান মাখার সুযোগ ছিলো, সেটা দুই ঈদ। কেউ মারা গেলেও দেখতাম এই হাবিব সাবান দিয়ে গোসল করাতো। বাঁকি দিনগুলোতে নদীর আঠালে মাটি দিয়ে সাবানের কাজ সারতাম। মাথার চুল আঠায় চিটচিটে হয়ে গেলে ঐ আঠালে মাটি দিয়েই তার জট ছাড়ানো হতো। আহা! ঐ মাটির কী পাগল করা গন্ধ ছিলো রে ভাই!! যা হোক, ঈদের দিন সকালে নদীর কিনার জুড়ে যতদুর চোখ যায়, শুধু গরু আর মানুষ। তবে মানুষের চেয়ে গরু অনেক বেশি।
মা টিনের প্লেট ভর্তি করে সেমাই দিতেন। খুব যতন করে সুরমা লাগিয়ে দিতেন চোখে। দূরে ঈদের মাঠ থেকে মাইকে ইমামের সময় মতো নামাজ পড়তে যাওয়ার ডাক শোনা যেতো। আমরা যখন ঈদগাহের দিকে রওনা দিয়েছি তখনো কেউ কেউ গরু নিয়ে নদীর দিকে যেতো। আমার তখনো নামাজের প্রতি অতটা দরদ পয়দা হয়নি। তাই নামাজ না পড়ে ঈদের মাঠের যেদিকে বাতাসা, সন্দেশ আর খেলনার দোকান বসতো আমি সেখানে গিয়ে ঘুরতাম। সে সময় কেউ কাউকে সেলামি দিতো না। ঈদের মাঠে যাওয়ার সময় মা দশটি দশ পয়সা দিতেন। তাই পকেটে নিয়ে মহা খুশি হয়ে ঈদগাহে যেতাম।
আমার এখনও মনে আছে দশ পয়সা দিয়ে বেলুন কিনে ফুঁ দিয়ে ফুলাতাম। বেলুনের প্যাকেডের গায়ে মুকুট পরা মানুষটির পাশে লেখা থাকতো ‘রাজা’। তখন বুঝতাম ফুঁ দিয়ে ফুলিয়ে ফটাশ করে ফাটিয়ে ফেলাই বেলুনের কাজ। অনেক পরে বুঝলাম এর আসল কার্যকারিতা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর