সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিরোনাম :
পাংশা পৌর সভায় মন্দির সমূহে নিরাপত্তায় কাজ করেছেন যুবদল নেতা আশরাফুল ইসলাম ফরিদ পাংশায় র‌্যালী মহড়া ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় আপনাদের পাশে ছিলাম আছি থাকবো -হারুন অর-রশিদ হারুন পাংশায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু প্রধান উপদেষ্টার সাথে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক খোকসার ফুলবাড়ি গ্রামে সিরাজ সর্দার কর্তৃক রাসুল (সঃ) কে কটূক্তি স্বামীর পরোকিয়া জেনে ফেলাই  কাল হলো রুমা’র ! প্রত্যাশার অপমৃত্যু :– রেদওয়ানুল করিম রনজু কুষ্টিয়ার খোকসায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত পাংশা,বালিয়াকান্দি ও কালুখালীর মানুষ হারুনকে এমপি হিসেবে চায় প্রশ্নবিদ্ধ আক্বিদা: ঐক্যের পথে বড় বাধা অভিমান : —-পান্না বদরুল >দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই ঐতিহাসিক বিজয়ের অংশীদার -মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।* কুষ্টিয়ায় সিরাতুন্নবী (সা) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৭টি বছর বাংলাদেশের জনগণের জীবনে ছিল দুঃসহ কালো রাত……….টাঙ্গাইলে ডা. শফিকুর রহমান
বিশেষ ঘোষনা
বাংলাদেশ ভূমি ডটকম এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার মূল্যবান সাহিত্য-কর্ম প্রকাশের জন্য বাংলাদেশ ভূমি’তে পাঠিয়ে দিন। এছাড়াও আপনার চারপাশের যে কোন খবর লিখে পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে। আমরা বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে তা প্রকাশ করবো। যোগাযোগ: খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন, মোবাইল-  ০১৭৫০৪৯৫৮২০ , ই-মেইল: bangladeshbhumi@gmail.com, এছাড়াও ভিজিট করতে পারেন বাংলাদেশ ভূমি/ @Bangladeshbhumi / খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন ইউটিউব চ্যানেলগুলি। এখন থেকে নিয়মিত বন্ধ্যান্ত, যৌন, পাইলস, নাকের পলিপাসসহ যাবতীয় রোগের চিকিৎসা করছেন: খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডা. মো. জাহাঙ্গীর হুসাইন (ডি.এইচ.এম.এস; এম.এ) । খন্দকার হোমিও হল, মুসলিমপাড়া, হেমায়েতপুর, সাভার, ঢাকা। রোগী দেখার সময়: বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

গল্প । খোলা মাঠে শীতের রাত । রাজীব হাসান

রাজীব হাসান / ১৫৪ জন পড়েছেন
আপডেটের সময় মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন

খোলা মাঠে শীতের রাত
রাজীব হাসান
আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে গ্রামে অনাকাঙ্ক্ষিত একটা কারণবশত গ্রামবাসির সাথে পাশের গ্রামের সাথে একটু ঝামেলা হয়েছিল। সমস্ত গ্রামবাসির নামে অজ্ঞাতনামা মামলা হয়। সেই থেকেই পুলিশের গ্রামে হানা দেওয়া শুরু। সেই সময়ে প্রচুর শীত রাস্তাঘাট সন্ধ্যার আগেই জনশূন্য শীত ও পুলিশ আতঙ্কে। সেই সময় আমার অনার্স ১ম বর্ষ ফাইনাল পরিক্ষা শুরু হয়েছে। পুলিশ আতঙ্কে গ্রামে মানুষ সব সময় বাড়ির বাহিরে বাহিরে থাকে। সকাল নেই বিকাল -রাত নেই গাড়ি গাড়ি পুলিশ গ্রামে আসে যাকে পেয়েছে ধরে নিয়ে গেছে। রাতের পুলিশের অভিযান বেশি হত। কারণ তারা জানে সারাদিন যেখানেই থাকুক রাতে বাড়ি ফিরবেই। এমন অবস্থায় গ্রামটি সন্ধ্যা নামার পরপর পুরুষ শূন্য হয়ে যেত। যদিও দু’চারজন বাড়িতে থাকতো হঠাৎ করে যদি কেউ এসে বলে গ্রামে পুলিশ এসেছে তো তাড়াও ঘর ছেড়ে বাহিরে চলে যেত। যতদিন ঝামেলা না মিটবে ততদিন এই রকম ঝামেলা চলতেই থাকবে। এদিকে আমার পরিক্ষা আতঙ্কে পড়তে বসতে পারছি না। ঘরের আলো জ্বালিয়ে পড়তে গেলে আশেপাশের লোক এসে ভয় দেখিয়ে বন্ধ করে দিত। কি আর করার নির্দোষ হওয়ার পর ও আতঙ্কে থাকতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা গ্রামের মহিলা মানু্ষ গুলো। এরা তিল কে তাল বানিয়ে জল ঘোলা করে ফেলে। তেমনি পুলিশ আসুক আর না আসুক ভয় দেখিয়ে সবাইকে বাড়ির বাহিরে পাঠাতে তাদের জুরি নেই। কি আর করার ঘরের বাতি অফ করে বসে আছি এমন সময় একজন এসে বললো গ্রামে পুলিশ ঢুকেছে সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এই শুনে গ্রামে একটা হইহুল্লোর সৃষ্টি হয়ে গেল। সবাই যার যার মতো এই শীতের মধ্যে ঘর থেকে মাঠের দিকে চলে যেতে লাগলো। কে জানে কখন আবার রাতের গ্রাম এটাক করে। সবার চলে যাওয়া দেখে আমাকে ও আর বাড়ি থাকতে দিলো না। সেই কনকনে শীতের মধ্যে কাথা কম্বল নিয়ে ছুটে চললাম মাঠের দিকে। শীতের রাত মাঠে কাটানোর এক নতুন অভিজ্ঞতা। মাঠের মাঝে যেয়ে দেখি চারদিকে পলিথিন দিয়ে তাবু গেরে সারি সারি সব গ্রামের মানুষের গুনগুন আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। আমিও একটা তাবুতে ঢুকে গেলাম। এই ঠান্ডা শীতের মধ্যে খোলা মাঠে চারদিকে শিয়ালের হাঁকডাঁক। তাবুর মধ্যেও শান্তিতে নেই ঠান্ডায় পা জমে যাচ্ছে চারদিকের খোলা বাতাস এসে গায়ে লাগে।ঘুম আর আসে না। এরই মধ্যে কে একজন দৌড়ে এসে বলে মাঠে পুলিশ ঢুকেছে। এবার আর কোথায় যাবে। সবাই যার যার মতো উঠে এই ঠান্ডার মধ্যে ছোটাছুটি শুরু করেছে। এরই মধ্যে বাড়ি থেকে ফোন আসে গ্রাম থেকে কয়েকজন ধরে নিয়ে গেছে। এদিকে সকালে পরিক্ষা রাতে পড়া হয়নি এখন যদি একটু ঘুমাতে না পারি তাহলে কাল পরিক্ষাই দিতে পারবো না। তাই আবার তাবুতে যেয়ে শুয়ে পড়লাম। সকালে ভোরে উঠে নামায পড়ে বাড়ি এসে কোন রকম পড়ে পরিক্ষার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছাড়ি। কোনরকমে পরিক্ষা শেষ করে বাড়ি এসে আবার সেই আতঙ্ক। আবার একটা হইহুল্লোর বেধে গেছে। এভাবেই আরো ১৫/২০ দিন চলার পর অবশেষে এই ঝামেলার অবসান হয়। সেই সাথে আমার পরিক্ষাও শেষ। সেকেন্ড ক্লাস নিয়ে সে বার পাশ করেছিলাম। কত শত ঝামেলার মাঝে সবকিছুর সমাধান হয়। সেই শীতের রাত গুলোর কথা মনে পড়লে এখন গা ঝাড়া দেয় খোলা মাঠে আশেপাশে হাজারো বন্য জীবজন্তু ঘোরাফেরা। তবে হঠাৎ করেই মাঠে মানু্ষের উপস্থিতি লক্ষ করে শেয়াল গুলো হাকডাক বন্ধ করে শান্ত হয়ে গিয়েছে। হয়তো তারাও আমাদের পরিস্থিতি তারাও বুঝতে পেরেছে। তাই তারা নিরব হয়ে গেছে। এভাবেই বেশ কিছুদিন ঠান্ডার মধ্যে খোলা মাঠে শীতের রাত কাটানোর বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর