অবশেষে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী মুকুলকে বরখাস্ত করা হলো। তার বিরুদ্ধে বিশিষ্ট আইন বিষয়ক কর্মকর্তার নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছিলো। অভিযোগটি করেছিলেন সয়ং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিএম আব্দুর রফেল।
মঙ্গলবার কুষ্টিয়া রেজিঃঅফিসে ঘটে যাওয়া ঘুষ কান্ডের বিষয়ে আক্ষেপ করে একটি স্ট্যাটাস লেখেন তিনি। সেখানে কুষ্টিয়া রেজিঃ অফিসের পিয়ন আক্কাস ও করনিক মুকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, যে তারা জমি রেজিঃ করতে ত্রিশ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেছেন। এবং নিজের পরিচয় দেওয়া স্বত্তেও তারা দশ হাজার টাকা নিয়ে নেন।
বিএম রফেল কুষ্টিয়ার চেনামুখ। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি ছিলেন।তিনি কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সভাপতির পদ এড়িয়ে মেধাবী, তরুণ এই আইনজীবী সুপ্রিমকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। ক্ষমতা, প্রভাব ও রাষ্ট্রীয় আইনের অন্যতম সুবিধাভোগি তিনি। তাঁর নিজের ওয়ালে লেখা স্ট্যাটাসটি দেখে দুঃখ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। তোড়পাড় শুরু হয় সর্বত্র।
সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহ বলেন, বিএম আব্দুর রফেল আমার দফতরে এসেছিলেন জমি রেজিস্ট্রি করতে। উনার কাজ দ্রুত করে দিই। তার ভাইয়ের কাছ থেকে অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মুকুল ঘুষ নিয়েছিল বলে অভিযোগ পাওয়ার পর আমি তাকে টাকা ফেরত দিতে বলেছি। আর এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম মুকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে