চাকুরী বৈষম্য দুরকরণ ও নানা অনিয়মের অবসান চেয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গত রোববার থেকে (০৫ মে) সকাল ৯টা থেকে কুষ্টিয়া সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের কার্যালয়ে একর্মবিরতি পালন করছে। তবে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখেছেন তারা।
কর্মবিরতিতে অংশ্রগণকারীদেও মতে, সারাদেশের ৮০টি পল্লী সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপরে বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর চাকুরী বৈষম্য ও নানা নির্যাতনের প্রতিবাদ স্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। যার কারণে বেশ কয়েকজনকে বদলি ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমাদের পেশাগত সমস্যা সমাধানের জন্য রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে রয়েছে ৭৯টি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমিতি কার্যালয়ে জেলার ৭টি এলাকার জোনাল অফিস, সাব-জোনাল অফিস, এরিয়া অফিস ও অভিযোগ কেন্দ্রের প্রায় ৭ শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কুষ্টিয়া প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ বাদে সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন তারা। যার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সুত্রে জানা যায়, জেলার মোট গ্রাহকের সংখ্যা ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪শ ১২জন। ১৭টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে জেলার প্রান্তিক এলাকায় বিদ্যুৎ সেবা দিলেও রোববার থেকে বন্ধ করেছে দিয়েছে কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা জানান, আমাদের উপরে বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ড নিরবে নির্যাতন করে আসছে। আমাদের অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করছে। তাই আমরা আমাদের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি অব্যহত রাখবো। আমরা ১৬ দফা দাবি নিয়ে এ কর্মবিরতি পালন করছি।
সমিতির এক কর্মচারী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের অফিসের অব্যবস্থাপনায় চলছে। আমরা কোন বৈষম্য চাই না। আমরা একটা সমাধান চাই। এজন্য আমরা সকল কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছি। মাঠ পর্যায়ে শুধু বিদ্যুৎ ছাড়া সকল গ্রাহক সেবা বন্ধ রয়েছে, আগামীতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে এ কর্মবিরতির ফলে গ্রাহকরা সেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে।
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি আতিকুজ্জামান জানান, কর্মবিরতির ফলে গ্রাহকরা ভোগান্তির স্বীকার হ”েছন। বিষয়টি দুঃখজনক হলেও সত্য। গ্রাহকদের হয়রানি কিছুটা কমেছে বলেও দাবী করেন তিনি।