কুষ্টিয়ায় মাস-উদ রুমী সেতুর টোলপ্লাজায় হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি
=======
কুষ্টিয়ায় মাস-উদ রুমী সেতুর টোলপ্লাজায় কর্তব্যরত ৬ কর্মীকে মারধরের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদক জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আতিকুর রহমান অনিক ও সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি সৌরভ খাঁন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ তুষার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৯ আগস্ট শুক্রবার সেতুর টোলপ্লাজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তের স্বার্থে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি সৌরভ খাঁন বলেন, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার (২১ আগস্ট) থেকে তারা এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করবেন। তদন্তের বিষয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। নির্ধারিত তিন কার্যদিবসের মধ্যেই তদন্ত সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবেন বলে জানান তিনি।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে জেলা ছাত্রলীগের শোক দিবসের আলোচনা সভা ছিল। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ। সভায় অংশ নেওয়ার জন্য কুমারখালী ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী মোটরসাইকেল যোগে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় মাস-উদ রুমী সেতুর পশ্চিম দিকের টোলপ্লাজায় পৌঁছলে সেখানে দায়িত্বরত একজন কর্মী একটি মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করেন। এসময় পেছন থেকে আরও ৩০ থেকে ৪০টি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে এসে পৌছায়। নেতাকর্মীরা এ সময় মোটরসাইকেল থেকে নেমেই টোলপ্লাজায় দায়িত্বরত কর্মীদের ওপর চড়াও হয় এবং লাঠিসোটা, কিল-ঘুসিসহ মারধর শুরু করে।
হামলায় টোলপ্লাজার ৬ কর্মী আহত হন। ঘটনার সময় ছাত্রলীগেরও কয়েকজন কর্মীও আহত হয় বলে দাবি করে ছাত্রলীগ। এ সময় টোলপ্লাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটে। আহতদের কয়েকজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ হামলার ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হলে কুষ্টিয়াসহ দেশ জুড়ে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
এদিকে শনিবার পর্যন্ত এ ঘটনায় ছাত্রলীগ বা টোলপ্লাজার ইজারাদার কর্তৃপক্ষের কেউই থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার। সেতুটির ইজারাদার কুষ্টিয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু।