ঐশি ও কর্মমুখী শিক্ষা ছাড়া উচ্চ শিক্ষার কোন মূল্য নেই, বলেছেন, তালিবান শিক্ষামন্ত্রী
বিদেশভূমি ডেস্ক#
আন্তর্জাতিক বিশ্বে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আফগানিস্তান। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক বিদেশী আগ্রাসনের জিঞ্জির ভেঙ্গে আফগানিস্তানের ছাত্র ভিত্তিক সংগঠন তালেবান এবার ক্ষমতায় ফিরেছে।ক্ষমতায় আসার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গত মঙ্গলবার তারা নতুন সরকার ঘোষণা করেছে। অন্তবর্তীকালের জন্য সরকার ঘোষণা করা হলেও দেশটির তালিব্সদের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বিদ্যমান।সম্প্রতি তালেবান শিক্ষামন্ত্রী শেখ মৌলভী নূরুল্লাহ মুনিরের একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে উচ্চ শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ওই ভিডিও বার্তায় তালেবান শিক্ষামন্ত্রীকে বলতে শোনা গেছে, কোনো পিএইচডি ডিগ্রি , মাস্টার্স ডিগ্রির মূল্য নেই তাদের কাছে। তিনি বলছেন, আপনারা দেখছেন যে মোল্লা এবং তালেবানরা ক্ষমতায় আছে। তাদের কোনো পিএইচডি, এমএ বা এমনকি হাইস্কুলের ডিগ্রীও নেই। কিন্তু তারা এখন সবার থেকে বড়। ফলে পিএইচডি, মাস্টার্স ডিগ্রির কোন মূল্য তাদের কাছে নেই।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়ে তবেই পালিয়েছে আমেরিকা ও তার দোসররা। এখন এই দেশকে সুসংহত করার অভিপ্রায়ে এমন বক্তব্য তিনি দিতে পারেন বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
শেখ মৌলভী নূরুল্লাহ মুনিরের এমন মন্তব্য নেটমাধ্যমে ব্যাপকভাবে পক্ষে-বিপক্ষে সমালোচিত হচ্ছে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখছেন,উচ্চ শিক্ষার পেছনে অর্থ ব্যায় না করে কাড়িগরি ও কর্মমূখী শিক্ষার মাধ্যমে জাতীকে উন্নতির চরম শিখরে পৌছানো উচিত।
আরেকজন লিখেছেন, উচ্চশিক্ষার মূল্য নেই! যদি আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান আহরণ না করে।
আরেকজন লিখেছেন, শিক্ষা সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনাকে আসলেই পরিবর্তন হওয়া জরুরী। অপ্রাসংগিক শিক্ষার পেছনে আমাদের মেধা ও মনন ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রকৃত ইলমি শিক্ষাকে করা হচ্ছে অপ্রাংগিক। এখন সময় এসেছে প্রকৃত ইলমে দ্বীন এর ভিত্তিতে কর্মমূখী শিক্ষা বাস্তবায়নের।
তালেবানের নতুন ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ এর নেতৃত্বে থাকবেন মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ। এছাড়া তালেবানের নীতি-নির্ধারণী পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে তালেবান।
এছাড়া হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করে ৩৩ সদস্যের মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেছে তালেবান। কোরআনের আইন বাস্তবায়নের লক্ষেই মূলত এই মন্ত্রিসভায় কোনও নারী সদস্য নেই বলে জানা যায়।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল পতনের পর তালেবান শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা প্রথমবারের মতো দেওয়া বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে, আফগানিস্তানে শাসনতান্ত্রিক সব বিষয় এবং জনজীবন ইসলামী শরিয়া আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে’। খবর এনডিটিভির